Month: March 2022

রহস্যময়ী নদী শানায়-টিপ্পিসখা # Mystery of Amazon

( ১৩ই জানুয়ারী কোলকাতা প্রাইম টাইমে প্রকাশিত ) রহস্যময় অ্যামাজনের প্রতি আমাদের কৌতূহল বরাবরের। ছোটবেলা শুকতারা বা আনন্দমেলায় অ্যামাজনের গাছ…

ঘোষদার দোকান-শান্তিনিকেতন (সেবাপল্লী)

(পয়লা ফেব্রুয়ারী কোলকাতা প্রাইম টাইমে প্রকাশিত) শান্তিনিকেতন চত্বরে ‘ঘোষদার দোকান’ প্রসিদ্ধ, আইকনিক ল্যান্ডমার্ক। দোকানের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীহরিপদ ঘোষ গত হয়েছেন। এখন তাাঁর ছেলে হারুদা দোকানের মালিক।  হারুদা ও সাধনা বৌদির অক্লান্ত পরিশ্রমে দোকানটি আজও আবাসিক ও আশ্রমিকদের প্রিয় ঠিকানা। সেই ছাত্রজীবন থেকেই ঘোষদার দোকানের সঙ্গেআমার সম্পর্ক। মাঝে মাঝেই ফোনে একে ওপরের খবর নিয়ে থাকি। এমনি একদিন কথায় কথায় ঘোষদার দোকান সম্পর্কে হারুদাকে কয়েকটা প্রশ্ন করেছিলাম : – হারুদা এই করোনাকালে সব কেমন চলছে? – সব কেমন ঝিমিয়ে পড়েছে গো। আশ্রম প্রায় ফাঁকাই বলতে গেলে। কি দিন ছিল আর কি দিন এলো। – ঠিক বলেছো হারুদা। ছাত্রজীবনে তো শুধু তোমার দোকানে খাবারই খাইনি, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাও দিয়েছি। আজ ভাটার দিনে সেইসব আনন্দমুখর মুহূর্ত রোমন্থন করতে ভালোই লাগে, বলো? একটু তোমার দোকানের ইতিহাসটা বলো না ? – বাবার জন্ম পূর্ববঙ্গে। দাদুর মশলার দোকান ছিল শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে। ব্রিটিশ শাসনকালে, বাবা প্রথমে কাশিপুর গানফ্যাক্টরি এবং পরে ইছাপুর গানফ্যাক্টরি চাকরী করেন। তারপর বাবা মিলিটারীতে যোগ দেন। বাবার সাথে সাহেবদের বনিবনা না হওয়াতে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে পৈতৃক বাড়ী নৈহাটিতে ফিরে বাবা প্রথমে দইয়ের ব্যবসা আরম্ভ করেন। দইয়ের ব্যবসা করতে করতেই বাবার এক বন্ধু বাবাকে বোলপুরে নিয়ে আসেন। বাবা প্রথম জীবনে শান্তিকেতনে ঘরে ঘরে গিয়ে দই বিক্রি করতেন। বাবার বানানো ‘খাট্টা-মিঠা’ দই সবার বিশেষ পছন্দের ছিল। তখন, বোলপুরে আসাযাওয়া করবার জন্য মাত্র দুখানা ট্রেন ছিল। একটা বারোটার লিংক ,আরেকটা রাতে গয়া প্যাসেঞ্জার। সারাদিন দই বিক্রি করে বাবা রাতের ট্রেন ধরে ফিরে যেতেন নৈহাটী। রাত দুটোর সময় বোলপুর থেকে দুটো বগি নিয়ে গয়া পেসেঞ্জার ছাড়তো, ওই বগিতেই বাবা ঘুমোতেন, ভোরবেলা নৈহাটী পৌঁছে যেতেন। ১৯৭৪ সালে সেবাপল্লীর এই জমি কেনা হয়। সামনের দিকে দরমার বেড়া আর খড়ের চাল দিয়ে ঘর বানিয়ে দোকান শুরু হয়। সামনের দিকটা তখন প্রচুর তেঁতুল , জাম , আম,তাল গাছ দিয়ে ঘেরা ছিল। ধীরে ধীরে সেখানে ঘরবাড়ি হয়ে যাওয়াতে আমরা পেছনের জমি কিনে সেখানে নতুন করে দোকান শুরু করি । – নৈহাটী ছেড়ে শান্তিনিকেতনে এই দোকান কেন ? বাবা, রোদ-জলের তোয়াক্কা না করে বাঁকে করে ঘরে ঘরে দই মিষ্টি বিক্রি করে বেড়াতেন। অনেকদিন ধরেই নিজের ও ছেলের জন্য একটি স্থায়ী মিষ্টির দোকানের কথা ভাবছিলেন। বোলপুরের মানুষের সঙ্গে অসম্ভব ঘনিষ্ঠতা হওয়াতে উনি বোলপুরেই দোকান করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে, সিনেমা তলাতে দোকান ভাড়া নেন। কিছুদিন পরে শান্তিনিকেতনের নিয়মিত খদ্দেরদের আগ্রহে ও…

এক কিংবদন্তী বাঘিনী

এক কিংবদন্তী বাঘিনী আজ এক বাঘিনীর গল্প বলি। বন্যপ্রেমীদের কাছে খুবই পরিচিত এই বাঘিনী, কলারওয়ালী।  কিন্তু , যারা জানেন না,…